প্রতিদিনের ধুলো-বালি, দূষণ চুলের জন্য ক্ষতিকর। সেই কারণে জেল্লাও হারায় আমাদের চুল। ফলে কোথাও যাওয়ার আগে শাইন ফেরানোর ধুম পড়ে যায়। তবে রোজ কিছু নিয়ম মেনে চললে চুলের শাইন থাকে অটুট।
হাঁটু পর্যন্ত ঝলমলে চুলের স্বপ্ন দেখেন অনেকেই। তবে সেই স্বপ্ন পূরণের পথে কাঁটা হয়ে দাঁড়ায় চুলের কিছু সমস্যা। ধুলো-বালি দূষণের কারণে হেয়ার ফল তো হয়ই। সঙ্গে প্রাকৃতিক জেল্লা হারায় আমাদের চুল। তাই চুলের শাইন ফিরিয়ে আনতে এদিক সেদিক দৌড়ে বেড়ান অনেকেই। তবে কিছু সহজ নিয়ম মেনে চললেই যে চুলের জেল্লা ফেরানো যায়, তা জানেন না অনেকেই।
ময়েশ্চার চাই চুলের
রোজকার ধুলো-বালি, দূষণ এবং পানিতে থাকা আয়রনের কারণে চুল রুক্ষ-শুষ্ক হয়ে যায়। পাশাপাশি থাকে লাগামছাড়া হেয়ার স্টাইলিং প্রোডাক্ট এবং টুলের ব্যবহার। এ সব কারণে চুলের বারোটা বাজে। ময়শ্চার হারায় আমাদের চুল। ফলে জেল্লাও মুখ লুকোয়। তাই চটজলদি চুলের হাল ফেরাতে হলে ময়শ্চারাইজিং হেয়ার স্প্রে ব্যবহার করতে পারেন। তাতেই প্যান্ডেল হপিংয়ে যাওয়ার আগে চুল হয়ে উঠবে স্বাস্থ্যোজ্জ্বল।
সঙ্গী হোক আপেল সাইডার ভিনিগার
রুক্ষ-শুষ্ক চুলে শাইন ফেরাতে চান? তাহলে আজ থেকেই নিয়মিত আপেল সাইডার ভিনিগারের ব্যবহার শুরু করে দিন। এর সঙ্গে ২-৩ ফোঁটা এসেনশিয়াল অয়েল মিশিয়ে রোজ স্ক্যাল্প ও চুলে লাগান। এতে চুল রেশমের মতো হবে। ঝলমল করবে চুল। পাশাপাশি এর ছোঁয়ায় স্ক্যাল্পের পিএইচ ঠিক থাকবে। এছাড়া এসিভি-র অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল ধর্ম স্ক্যাল্পের প্রদাহ, চুলকানি এবং খুশকির দাপটও কমাবে।
চিরুনি দিকেও নজর দিন
ভুল চিরুনি ব্যবহারের কারণেও কিন্তু চুলের দফারফা হতে পারে। তাই সফট-এন্ড ব্রাশই বেছে নিন। এর ব্যবহারে স্ক্যাল্পের ক্ষতি হবে না। সঙ্গে ড্রাই স্ক্যাল্পের সমস্যাও এড়ানো যাবে। এদিকে খেয়াল রাখতে হবে, সেবাসিয়াস গ্রন্থি স্ক্যাল্পকে লুব্রিকেট করার জন্য প্রাকৃতিক তেল উৎপাদন করে। যার কারণে চুলের শাইনও অটুট থাকে। তবে ভুল ব্রাশ দিয়ে চুল আঁচড়ালে এই প্রক্রিয়া প্রভাবিত হতে পারে। তাই স্ক্যাল্প ও চুলের ধরন বুঝে চিরুনি বেছে নিন।
এই ভুল আর নয়
অনেকে গরম পানি দিয়ে শ্যাম্পু করেন। সেখানেই হয়ে যায় মস্ত বড় ভুল। তাই ঠান্ডা পানিতে চুল ধুয়ে নিন। ঠান্ডা পানি কিউটিকল বুজিয়ে দেয়। ফলে চুল ফ্ল্যাট দেখায়। ঠান্ডা পানি ব্যবহার করলে চুল রুক্ষ হয়ে ছিঁড়ে যাবে না। শাইনও অটুট থাকবে এবং চুল হবে ম্যানেজেবল। তাহলে চুলের স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে এ বার থেকে শ্যাম্পু করুন কেবল ঠান্ডা পানিতেই।
বালিশের কভার হোক সিল্কের
আমরা বালিশে মাথা রেখে ঘুমানোর সময় চুলের সঙ্গে বালিশের কভারের ঘর্ষণ হয়। সুতি বা অন্যান্য ফ্যাব্রিকের কভারের সঙ্গে ঘর্ষণ বেশি হয়। তবে সিল্কের কভারের ক্ষেত্রে এই ঘর্ষণ অপেক্ষাকৃত কম হয়। ফলে স্ক্যাল্পে ময়লা, তেলও জমে না। পাশাপাশি চুলও রুক্ষ-শুষ্ক হয়ে পড়ে না। তাই এ বার থেকে বালিশে সিল্কের কভার পরিয়েই ঘুমোন।