অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর সংলাপের প্রথম দিন বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী তাদের নিজ নিজ দাবি তুলে ধরেছে। শনিবার (৫ অক্টোবর) বিকেলে অনুষ্ঠিত এই সংলাপে বিএনপি দ্রুত জাতীয় নির্বাচনের জন্য রোডম্যাপ দেয়ার দাবি জানালেও জামায়াত আগে প্রয়োজনীয় সংস্কার কার্যক্রমের ওপর জোর দিয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক শেষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচনের জন্য দ্রুত রোডম্যাপ দেয়ার কথা বলেছি। এছাড়া আমরা নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন স্থগিত করে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্যমতের ভিত্তিতে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করার দাবি জানিয়েছি।
তিনি আরও জানান, গুম-খুনের সাথে জড়িত ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনা এবং নির্বাচনী দায়িত্ব পালনকারী বিতর্কিত কমিশনারদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার প্রস্তাবও দেয়া হয়েছে। একই সাথে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের পক্ষে রায় দেয়া সাবেক বিচারপতি খায়রুল হকের বিচারের দাবিও তুলে ধরেছে বিএনপি।
অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামী প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সংলাপে নিজেদের দুই ধাপের রোডম্যাপের কথা তুলে ধরে। দলটির আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেন, প্রথম রোডম্যাপটি হবে সংস্কারের, আর দ্বিতীয়টি নির্বাচনের। সফল সংস্কারের পরই নির্বাচন সুষ্ঠু হতে পারে বলে আমরা মনে করি। তিনি জানান, আগামী ৯ই অক্টোবর তাদের সংস্কার প্রস্তাব জাতির সামনে উপস্থাপন করা হবে।
বিএনপি ও জামায়াত ছাড়াও সংলাপে অংশ নেয়া অন্যান্য দলগুলোর মধ্যে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, গণতন্ত্র মঞ্চ, বাম গণতান্ত্রিক জোট এবং গণঅধিকার পরিষদও বিভিন্ন প্রস্তাব দিয়েছে। ইসলামী আন্দোলন ফ্যাসিবাদী শক্তির নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ বন্ধ করার আহ্বান জানায়, আর গণতন্ত্র মঞ্চ দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থা ও সংবিধান সংস্কারের ওপর গুরুত্বারোপ করেছে।
প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, এই সংলাপে দলগুলোর মতামতের ভিত্তিতে গঠিত সংস্কার কমিশনগুলো দ্রুত কাজ শুরু করবে।
তবে সংলাপে অংশ নেয়নি আওয়ামী লীগ, ১৪ দলভুক্ত কোনো রাজনৈতিক দল, কিংবা জাতীয় পার্টি।